নাতিনীর পত্র

শ্রীচরণেষু

দাদামহাশয়

খেয়েছ যে সাল্‌গম না করিয়া কাল-গম

এই আমি বহুভাগ্য মানি।

তার পরে মিঠি মিঠি লিখেছ স্নেহের চিঠি,

তার মূল্য কী আছে কী জানি।

তুচ্ছ এই উপহার কে জানিত কমলার

পদ্মসরোবর দিবে নাড়া--

সালগম মটন রোস্টে কবির অধর-ওষ্ঠে

খুলি দিবে কাব্যের ফোয়ারা।

কিন্তু বড়দাদা-ভাই বড়ো মনে দুঃখ পাই

এ খেদ যাবে না প্রাণ গেলে--

শুনিতে হইল এও ভাগ্যবান তোমারেও

নাচের দোসর নাহি মেলে!

নাহয় না হল বুড়ি তবুও তো ঝুড়ি ঝুড়ি

নাতিনীতে ঘরটি বোঝাই--

যারেই লইবে বাছি সেই তো উঠিবে নাচি,

নাচিবার ভাবনা তো নাই।

এ কথা ভুলিলে যবে বুঝায়ে কী আর হবে--

ধিক্‌ তবে মোর সালগমে।

বুঝিলাম তরকারি যত হোক দরকারী,

তাহাতে কবিত্ব নাহি জমে।

আর না করিব ভুল-- এবারে বসন্তে ফুল

তুলিয়া আনিব ভরি ডালা।

সালগম পেঁয়াজকলিজলে দিয়া জলাঞ্জলি

পাঠাইব বকুলের মালা।