গলদাচিংড়ি তিংড়িমিংড়ি,

লম্বা দাঁড়ায় করতাল,

পাকড়াশিদের কাঁকড়াডোবায়

মাকড়সাদের হরতাল।

পয়লা ভাদর, পাগলা বাঁদর,

লেজখানা যায় ছিঁড়ে,

পালতে মাদার, সেরেস্তাদার

কুটছে নতুন চিঁড়ে।

কলেজপাড়ায় শেয়াল তাড়ায়

অন্ধ কলুর গিন্নি।

ফটকে ছোঁড়া চট্‌কিয়ে খায়

সত্যপিরের সিন্নি।

মুল্লুক জুড়ে উল্লুক ডাকে,

ঢোলে কুল্লুক ভট্ট,

ইলিশের ডিম ভাজে বঙ্কিম,

কাঁদে তিনকড়ি চট্ট।

গরানহাটায় সজনেডাঁটা

কিনছে পুলিস সার্জন,

চিৎপুরে ঐ নাগা সন্ন্যাসী

কাত হয়ে মরে চারজন।

পঞ্চায়েতের চুপড়ি বেতের,

সর্ষেখেতের চাষী;

কাঁচালঙ্কার ফোড়ন লাগায়

কুড়োনচাঁদের মাসি।

পটলডাঙায় চক্ষু রাঙায়

মুর্গিহাটার মিঞা;

শম্ভু বাজায় তম্বুরাটায়

কেঁয়াও-কেঁয়াও-কিঞা।

ঠন্‌ঠনে আজ বেচে লণ্ঠন

চার পয়সায় আটটা।

মুখ ভেংচিয়ে হেড্‌মাস্টার

মন্তুরে করে ঠাট্টা।

চিন্তামণির কয়লাখনির

কুলির ইন্‌ফ্লুয়েঞ্জা;

বিরিঞ্চিদের খাজাঞ্চি ঐ

চণ্ডীচরণ সেন-জা।

শিলচরে হায় কিলচড় খায়

হস্টেলে যত ছাত্র;

হাজি মোল্লার দাঁড়িমাল্লার

বাকি একজন মাত্র।

দাওয়াইখানায় শিঙাড়া বানায়,

উচ্চিংড়েটা লাফ দেয়;

কনেস্টেবল পেতেছে টেব্‌ল্‌

খুদিরে চায়ের কাপ দেয়।

গুবরেপোকার লেগেছে মড়ক,

তুবড়ি ছোটায় পঞ্চু;

ন্যায়রত্নের ঘাড়ের উপর

কাকাতুয়া হানে চঞ্চু।

সিরাজগঞ্জে বিরাট মিটিং,

তুলো-বের-করা বালিশ;

বংশু ফকির ভাঙা চৌকির

পায়াতে লাগায় পালিশ।

রাবণের দশ মুণ্ডে নেমেছে

বকুনি ছাড়ায়ে মাত্রা;

নেড়ানেড়ি দলে হরি-হরি বলে,

শেষ হল রামযাত্রা।