তোরে আমি রচিয়াছি রেখায় রেখায়

লেখনীয় নটনলেখায়।

নির্বাকের গুহা হতে আনিয়াছি

নিখিলের কাছাকাছি,

যে সংসারে হতেছে বিচার

নিন্দা-প্রশংসার।

এই আস্পর্ধার তরে

আছে কি নালিশ তোর রচয়িতা আমার উপরে।

অব্যক্ত আছিলি যবে

বিশ্বের বিচিত্ররূপ চলেছিল নানা কলরবে।

নানা ছন্দে লয়ে

সৃজনে প্রলয়ে।

অপেক্ষা করিয়া ছিলি শূন্যে শূন্যে, কবে কোন্‌ গুণী

নিঃশব্দ ক্রন্দন তোর শুনি

সীমায় বাঁধিবে তোরে সাদায় কালোয়

আঁধারে আলোয়।

পথে আমি চলেছিনু। তোর আবেদন

করিল ভেদন

নাস্তিত্বের মহা-অন্তরাল

পরশিল মোর ভাল

চুপে চুপে

অর্ধস্ফুট স্বপ্নমূর্তিরূপে।

অমূর্ত সাগরতীরে রেখার আলেখ্যলোকে

আনিয়াছি তোকে।

ব্যথা কি কোথাও বাজে

মূর্তির মর্মের মাঝে।

সুষমার অন্যথায়

ছন্দ কি লজ্জিত হল অস্তিত্বের সত্য মর্যাদায়।

যদিও তাই-বা হয়

নাই ভয়,

প্রকাশের ভ্রম কোনো

চিরদিন রবে না কখনো।

রূপের মরণত্রুটি।

আপনিই যাবে টুটি

আপনারি ভারে,

আরবার মুক্ত হবি দেহহীন অব্যক্তের পারে।