নির্ঝরিণী অকারণ অবারণ সুখে

নীরসেরে ঠেলা দিয়ে চলে তৃষিতের অভিমুখে--

নিত্য অফুরান

আপনারে করে দান।

সরোবরে প্রশান্ত নিশ্চল--

বাহিরেতে নিস্তরঙ্গ, অন্তরেতে নিস্তব্ধ নিস্তল।

চির-অতিথির মতো মহাবট আছে তীরে;

ভূরিপায়ী মূল তার অদৃশ্য গভীরে

অনিঃশেষ রস করে পান,

অজস্র পল্লবে তার করে স্তবগান।

তোমারে তেমনি দেখি নির্বিকল

অপ্রমত্ত পূর্ণতায়, হে প্রেয়সী, আছ অচঞ্চল।

তুমি কর বরদান দেবীসম ধীর আবির্ভাবে

নিরাসক্ত দাক্ষিণ্যের গম্ভীর প্রভাবে।

তোমার সামীপ্য সেই

নিত্য চারি দিকে আকাশেই

প্রকাশিত আত্মমহিমায়

প্রশান্ত প্রভায়।

তুমি আছ কাছে,

সে আত্মবিস্মৃত কৃপা--চিত্ত তাহে পরিতৃপ্ত আছে।

ঐশ্বর্যরহস্য যাহা তোমাতে বিরাজে

একই কালে ধন সেই, দান সেই--ভেদ নাই মাঝে।