নিশীথেরে লজ্জা দিল অন্ধকারে রবির বন্দন।

পিঞ্জরে বিহঙ্গ বাঁধা, সংগীত না মানিল বন্ধন।

ফোয়ারার রন্ধ্র হতে

উন্মুখর ঊর্ধ্বস্রোতে

বন্দীবারি উচ্চারিল আলোকের কী অভিনন্দন।

মৃত্তিকার ভিত্তি ভেদি অঙ্কুর আকাশে দিল আনি

স্বসমুত্থ শক্তিবলে গভীর মুক্তির মন্ত্রবাণী।

মহাক্ষণে রুদ্রাণীর

কী বর লভিল বীর,

মৃত্যু দিয়ে বিরচিল অমর্ত্য নরের রাজধানী।

"অমৃতের পুত্র মোরা'-- কাহারা শুনাল বিশ্বময়।

আত্মবিসর্জন করি আত্মারে কে জানিল অক্ষয়।

ভৈরবের আনন্দেরে

দুঃখেতে জিনিল কে রে,

বন্দীর শৃঙ্খলচ্ছন্দে মুক্তের কে দিল পরিচয়।