বাঁশরি আনে আকাশ-বাণী-

ধরণী আনমনে

কিছু বা ভোলে কিছু বা আধো

শোনে।

নামিবে রবি অস্তপথে,

গানের হবে শেষ--

তখন ফিরে ঘিরিবে তারে

সুরের কিছু রেশ।

অলস খনে কাঁপায় হাওয়া

আধেকখানি-হারিয়ে-যাওয়া

গুঞ্জরিত কথা,

মিলিয়া প্রজাপতির সাথে

রাঙিয়ে তোলে আলোছায়াতে

দুইপহরে-রোদ-পোহানো

গভীর নীরবতা।

হল্‌দেরঙা-পাতায়-দোলা

নাম-ভোলা ও বেদনা-ভোলা

বিষাদ ছায়ারূপী

ঘোমটা-পরা স্বপনময়

দূরদিনের কী ভাষা কয়

জানি না চুপিচুপি।

জীবনে যারা স্মরণ-হারা

তবু মরণ জানে না তারা,

উদাসী তারা মর্মবাসী

পড়ে না কভু চোখে--

প্রতিদিনের সুখ-দুখেরে

অজানা হয়ে তারাই ঘেরে,

বাষ্পছবি আঁকিয়া ফেরে

প্রাণের মেঘলোকে।