বেলকুঁড়ি-গাঁথা মালা

দিয়েছিনু হাতে,

সে মালা কি ফুটেছিল রাতে?

দিনান্তের ম্লান মৌনখানি

নির্জন আঁধারে সে কি ভরেছিল বাণী?

অবসন্ন গোধূলির পাণ্ডু নীলিমায়

লিখে গেল দিগন্তসীমায়

অস্তসূর্য--স্বর্ণাক্ষরধারা।

রাত্রি কি উত্তরে তারি রচেছিল তারা?

পথিক বাজায়ে গেল পথে-চলা বাঁশি,

ঘরে সে কি উঠেছে উচ্ছ্বাসি?

কোণে কোণে ফিরিছে কোথায়

দূরের বেদনখানি ঘরের ব্যথায়!