বৈকালবেলা ফসল-ফুরানো

শূন্য খেতে

বৈশাখে যবে কৃপণ ধরণী

রয়েছে তেতে,

ছেড়ে তার বন জানি নে কখন

কী ভুল ভুলি

শুষ্ক ধূলির ধূসর দৈন্যে

এসেছিল বুল্‌বুলি।

সকালবেলার স্মৃতিখানি মনে

বহিয়া বুঝি

তরুণ দিনের ভরা আতিথ্য

বেড়ালো খুঁজি।

অরুণে শ্যামলে উজ্জ্বল সেই

পূর্ণতারে

মিথ্যা ভাবিয়া ফিরে যাবে সে কি

রাতের অন্ধকারে।

তবুও তো গান করে গেল দান

কিছু না পেয়ে।

সংশয়-মাঝে কী শুনায়ে গেল

কাহারে চেয়ে।

যাহা গেছে সরে কোনো রূপ ধ'রে

রয়েছে বাকি,

এই সংবাদ বুঝি মনে মনে

জানিতে পেরেছে পাখি।

প্রভাতবেলার যে ঐশ্বর্য

রাখে নি কণা,

এসেছিল সে যে, হারায় না কভু

সে সান্ত্বনা।

সত্য যা পাই ক্ষণেকের তরে

ক্ষণিক নহে।

সকালের পাখি বিকালের গানে

এ আনন্দই বহে।