যে সন্ধ্যায় প্রসন্ন লগনে

পূর্ণচন্দ্রে হেরিল গগনে

উৎসুক ধরণী,

সর্বাঙ্গ বেষ্টিয়া তার তরঙ্গের ধন্য-ধন্য ধ্বনি

মন্দ্রিয়া উঠিল কূলে কূলে;

নদীর গদ্‌গদ বাণী অশ্রুবেগে উঠে ফুলে ফুলে

কোটালের বানে,

কী চেয়েছে কী বলেছে আপনি না জানে;

সে সন্ধ্যায় প্রসন্ন লগনে

তোমারে প্রথম দেখা দেখেছি জীবনে।

যে বসন্তে উৎকণ্ঠিত দিনে

সাড়া এল চঞ্চল দক্ষিণে;

পলাশের কুঁড়ি

একরাত্রে বর্ণবহ্নি জ্বালিল সমস্ত বন জুড়ি;

শিমুল পাগল হয়ে মাতে,

অজস্র ঐশ্বর্যভার ভরে তার দরিদ্র শাখাতে,

পাত্র করি পুরা

আকাশে আকাশে ঢালে রক্তফেন সুরা।

উচ্ছ্বসিত সে এক নিমেষে

যা-কিছু বলার ছিল বলেছি নিঃশেষে।