যেন তার চক্ষু-মাঝে

উদ্যত বিরাজে

মহেশের তপোবনে নন্দীর তর্জনী।

ইন্দ্রের অশনি

মৌনে তার ঢাকা;

প্রাণ তার অরুণের পাখা

মেলিল দিনের বক্ষে তীব্র অতৃপ্তিতে

দুঃসহ দীপ্তিতে।

সাধক দাঁড়ায় তার কাছে,

সহসা সংশয় লাগে যোগ্যতা কি আছে;

দুঃসাধ্যসাধন-তরে

পথ খুঁজে মরে।

তুচ্ছতারে দাহে তার অবজ্ঞাদহন;

এনেছে সে করিয়া বহন

ইন্দ্রাণীর গাঁথা মাল্য; দিবে কণ্ঠে তার

কার্মুকে যে দিয়েছে টংকার,

কাপট্যেরে হানিয়াছে, সত্যে যার ঋণী বসুমতী--

নাম কি জয়তী।