হে হরিণী,

আকাশ লইবে জিনি

কেন তব এ অধ্যবসায়?

সুদূরের অভ্রপটে অগম্যেরে দেখা যায়,

কালো চোখে পড়ে তার স্বপ্নরূপ লিখা;

একি মরীচিকা,

পিপাসার স্বরচিত মোহ,

একি আপনার সাথে আপন বিদ্রোহ?

নিজের দুঃসহ সঙ্গ হতে

ছুটে যেতে চাও কোনো নূতন আলোতে--

নিকটের সংকীর্ণতা করি ছেদ,

দিগন্তের নব নব যবনিকা করি দিয়া ভেদ।

আছ বিচ্ছেদের পারে;

যারে তুমি জানো নাই, রক্তে তুমি চিনিয়াছ যারে,

সে যে ডাক দিয়ে গেছে যুগে যুগে যত হরিণীরে

বনে মাঠে গিরিতটে নদীতীরে--

জানায়েছে অপূর্ব বারতা

কত শত বসন্তের আত্মবিহ্বলতা।

তারই লাগি বিশ্বভোলা মহা-অভিসার

হয়েছে দুর্বার,

অদৃশ্যেরে সন্ধানের তরে

দাঁড়ায়েছ স্পর্ধাভরে,

একান্ত উৎসুক তব প্রাণ

আকাশেরে করে ঘ্রাণ--

কর্ণ করিয়াছে খাড়া,

বাতাসে বাতাসে আজি অশ্রুত বাণীর পায় সাড়া।