চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনে

অভাগা যখন বেঁধেছিল তার বাসা

কোণে কোণে তারি পুঞ্জিত হল জীবনের ভাঙা আশা।

ঘরের মধ্যে বুকের কাঁদনগুলা

উড়িয়ে বেড়ায় ধুলা।

দুষিয়া রুষিয়া উঠে নিরুদ্ধ বায়ু,

শোষণ করিছে আয়ু।

যেখানে-সেখানে মলিনের লাগে ছোঁওয়া,

দীপ নিভে যায়, তীব্রগন্ধ ধোঁওয়া

রোধ করে নিশ্বাস,

কঠোর ভাগ্য হানে নিষ্ঠুর ভাষ।

ওরে দরিদ্র,চেয়ে দেখ তোর ভাঙা ভিত্তির ধারে,

অসীম আকাশ, কে তারে রোধিতে পারে।

সেথা নাই বন্ধন,

প্রভাত-আলোকে প্রতিদিন আসে তব অভিনন্দন।

সন্ধ্যার তারা তোমারি মুখেতে চাহে,

তোমারি মুক্তি গাহে।

তব সত্তার মহিমা ঘোষিছে সব সত্তার মাঝে,

হে মানব, তুমি কোথায় লুকাও লাজে।

যেখানে ক্ষুদ্র সেখানে পীড়িত তুমি,

কর্কশ হাসি হাসিছে যেথায় দৈন্যের মরুভূমি

তাহার বাহিরে তোমার উদার স্থান,

বিশ্ব তোমারে বক্ষ মেলিয়া করিতেছে আহ্বান।