কোন্‌ ক্ষণে

সৃজনের সমুদ্রমন্থনে

উঠেছিল দুই নারী

অতলের শয্যাতল ছাড়ি।

একজনা উর্বশী, সুন্দরী,

বিশ্বের কামনা-রাজ্যে রানী,

স্বর্গের অপ্সরী।

অন্যজনা লক্ষ্মী সে কল্যাণী,

বিশ্বের জননী তাঁরে জানি,

স্বর্গের ঈশ্বরী।

একজন তপোভঙ্গ করি

উচ্চহাস্য-অগ্নিরসে ফাল্গুনের সুরাপাত্র ভরি

নিয়ে যায় প্রাণমন হরি,

দু-হাতে ছড়ায় তারে বসন্তের পুষ্পিত প্রলাপে,

রাগরক্ত কিংশুকে গোলাপে,

নিদ্রাহীন যৌবনের গানে।

আরজন ফিরাইয়া আনে

অশ্রুর শিশির-স্নানে

স্নিগ্ধ বাসনায়;

হেমন্তের হেমকান্ত সফল শান্তির পূর্ণতায়;

ফিরাইয়া আনে

নিখিলের আশীর্বাদপানে

অচঞ্চল লাবণ্যের স্মিতহাস্যসুধায় মধুর।

ফিরাইয়া আনে ধীরে

জীবনমৃত্যুর

পবিত্র সংগমতীর্থতীরে

অনন্তের পূজার মন্দিরে।