দৃশ্য--পর্ব্বতগুহা। রাত্রি

কালভৈরবের প্রতিমার সম্মুখে রুদ্রচণ্ড

দৃশ্য--পর্ব্বতগুহা। রাত্রি

কালভৈরবের প্রতিমার সম্মুখে রুদ্রচণ্ড

রুদ্রচণ্ড।

মহাকালভৈরব-মুরতি,

শুন, দেব, ভক্তের মিনতি!

কটাক্ষে প্রলয় তব, চরণে কাঁপিছে ভব,

প্রলয়গগনে জ্বলে দীপ্ত ত্রিলোচন।

তোমার বিশাল কায়া ফেলেছে আঁধার ছায়া,

অমাবস্যারাত্রি-রূপে ছেয়েছে ভুবন।

জটার জলদরাশি চরাচর ফেলে গ্রাসি,

দশনবিদ্যুত-বিভা দিগন্তে খেলায়।

তোমার নিশ্বাসে খসি নিভে রবি, নিভে শশী,

শত লক্ষ তারকার দীপ নিভে যায়।

প্রচণ্ড উল্লাসে মেতে, জগতের শ্মশানেতে

প্রেতসহচরগণ ভ্রমে ছুটে ছুটে--

নিদারুণ অট্টহাসে প্রতিধ্বনি কাঁপে ত্রাসে,

ভগ্ন ভূমণ্ডল তারা লুফে করপুটে।

প্রলয়মূরতি ধর', থরহর সুর নর,

চারি পাশে দানবেরা করুক বিহার--

মহাদেব, শুন শুন নিবেদিনু পুনঃ পুন

আমি রুদ্রচণ্ড, চণ্ড, সেবক তোমার।

সে সঙ্কল্প আছে মনে সঁপিনু তা ও চরণে,

কৃপা করি লও দেব, লও তাহা তুলে।

এ দারুণ ছুরিখানি অর্ঘ্যরূপে দিনু আনি,

দু-দণ্ড এ ছুরিকাটি রাখ পদমূলে।

কৃপা তব হবে কবে মনোআশা পূর্ণ হবে,

মন হ'তে নেমে যাবে প্রতিজ্ঞা-পাষাণ!

সঙ্কল্প হইলে সিদ্ধ এ হৃদি করিয়া বিদ্ধ

নিজের শোণিত দিব উপহারদান!
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9...15