বেলা যায়। তেল মেখে জলে ডুব দিয়ে আসি। তার পরে খেলা হবে।

একা একা খেলা যায় না। ঐ বাড়ি থেকে কয়জন ছেলে এলে বেশ হয়।

ঐ-যে আসে শচী সেন, মণি সেন, বংশী সেন। আর ঐ-যে আসে মধু শেঠ আর ক্ষেতু শেঠ। ফুটবল খেলা খুব হবে।

বল নেই। গাছ থেকে ঢেলা মেরে বেল পেড়ে নেব। তেলিপাড়া মাঠে গিয়ে খেলা হবে।

খেলা সেরে ঘরে ফিরে যাব। দেরি হবে না।

বাবা নদী থেকে ফিরে এলে তবে যাব। গিয়ে ভাত খেয়ে খাতা নেব। লেখা বাকি আছে।

এসেচে শরৎ, হিমের পরশ

লেগেচে হাওয়ার ‘পরে—

সকালবেলায় ঘাসের আগায়

শিশিরের রেখা ধরে।

আমলকী-বন কাঁপে,যেন তার

বুক করে দুরু দুরু—

পেয়েচে খবর পাতা-খসানোর

সময় হয়েচে শুরু।

শিউলির ডালে কুঁড়ি ভ’রে এল,

টগর ফুটিল মেলা,

মালতীলতায় খোঁজ নিয়ে যায়

মৌমাছি দুই বেলা।

গগনে গগনে বরষণ-শেষে

মেঘেরা পেয়েচে ছাড়া,

বাতাসে বাতাসে ফেরে ভেসে ভেসে,

নাই কোনো কাজে তাড়া।

দীঘিভরা জল করে ঢল-ঢল,

নানা ফুল ধারে ধারে,

কচি ধানগাছে ক্ষেত ভ’রে আছে—

হাওয়া দোলা দেয় তারে।

যে দিকে তাকাই সোনার আলোয়

দেখি যে ছুটির ছবি,

পূজার ফুলের বনে ওঠে ওই

পূজার দিনের রবি।
1...3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11