শৈল এল কই? ঐ যে আসে ভেলা চ’ড়ে বৈঠা বেয়ে। ওর আজ পৈতে। ওরে কৈলাস দৈ চাই। ভালো

ভৈষা দৈ আর কৈ মাছ। শৈল আজ খৈ দিয়ে দৈ মেখে খাবে।

দৈ তো গয়লা দেয় নি। তৈরি হয় নি। হয়তো বৈকালে দেবে।

পৈতে হবে চিঠি পেয়ে মৈনিমাসি আজ এল। মৈনিমাসি বৈশাখ মাসে ছিল নৈনিতালে। তাকে যেতে হবে চৈবাসা। তার বাবা থাকে গৈলা।

গৈলা কোথা?

জানো না, গৈলা বরিশালে। সেইখানে থাকে বেণী বৈরাগী। এখন সে থাকে নৈহাটি।

কাল ছিল ডাল খালি,

আজ ফুলে যায় ভ’রে।

বল্‌ দেখি তুই মালী,

হয় সে কেমন ক’রে।

গাছের ভিতর থেকে

করে ওরা যাওয়া -আসা।

কোথা থাকে মুখ ঢেকে,

কোথা যে ওদের বাসা।

থাকে ওরা কান পেতে

লুকানো ঘরের কোণে,

ডাক পড়ে বাতাসেতে

কী ক’রে সে ওরা শোনে।

দেরি আর সহে না-যে,

মুখ মেজে তাড়াতাড়ি

কত রঙে ওরা সাজে,

চ’লে আসে ছেড়ে বাড়ি।

ওদের সে-ঘরখানি

থাকে কি মাটির কাছে?

দাদা বলে,জানি জানি

সে-ঘর আকাশে আছে।

সেথা করে আসা যাওয়া

নানা রঙা মেঘগুলি—

আসে আলো, আসে হাওয়া

গোপন দুয়ার খুলি।

এ ছন্দটি দুই মাত্রায় অথবা তিন মাত্রায় পড়া যায়।

দুই মাত্রা,যথা —

কাল। ছিল। ডাল। খালি

আজ। ফুলে। যায়। ভ’রে।

তিন মাত্রা, যথা—

কাল ছিল ডাল। খালি—।

আজ ফুলে যায়। ভ’রে—।

তিন মাত্রার তালে পড়লেই ভালো হয়।
1...3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11